যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এর মধ্য থেকে ২০১৫ সাল নাগাদ ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী কমে যায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসোর্চ সেন্টারের সর্বশেষ তরুণদের নিয়ে গবেষণার রিপোর্ট। অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কনস্ট্যান্ড বেসিস অনলাইনে থাকে। বর্তমানে ইউটিউব ফেসবুকের আধিপত্য দখল করেছে তাদের সেবার মাধ্যমে। তরুণদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশই ইউটিউকে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে। দ্ব্বিতীয় ও তৃতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের নাম। বর্তমানে তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ও ৬৯ শতাংশ স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করছে। এছাড়াও ৩২ শতাংশ তরুণ টুইটার এবং ১৪ শতাংশ টাম্বলার ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে এই সংখ্যা অপরিবর্তনীয়। গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবের নিকট তরুণদের জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক যদিও তাদের জনপ্রিয় সেবা ইনস্টাগ্রাম বিদ্যমান রয়েছে, যা ছবি, ভিডিও শেয়ারিং নেটওয়ার্কিং সার্ভিস হিসেবে কাজ করছে ২০১২ সাল থেকে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা চলতি বছরে প্রতিমাসে ৭৫০ জন তরুণদের নিয়ে গবেষণা করেছে। তাদের গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে- তরুণদের জীবনে স্মার্টফোন একটি বিশেষ অংশ হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে সেখানে ৯৫ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারী রয়েছে, যা ৩ বছর আগে ছিল ৭৩ শতাংশ। তারা আরো জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সমবয়সী তরুণদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে, কম আয়ের তরুণরাই উচ্চ আয়ের তরুণদের চেয়ে ফেসবুক বেশি ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকরীদের ব্যক্তিগত জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো মতামত প্রকাশ করেনি। মোট ব্যবহারকারীদের মধ্যথেকে মন্তব্য দাতাদের চারের তিন অংশ পজেটিভ ও এক অংশ নেগেটিভ মন্তব্য দিয়েছে। আবার ৪৫ শতাংশ ইতিবাচক বা নেতিবাচাক কোনো বন্তব্যই করেননি।